ভারতের তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ বৃষ্টির কবলে পড়ে অবশেষে ড্রতেই নিষ্পত্তি হলো। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মুমিনুল হক। সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক ছাড়া আর কোনো ব্যাটার পাননি বড় সংগ্রহ। তবে স্পিনার তাইজুল খেলেছেন ৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস। এরপর ২২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ২ উইকেটে ৬৬ তোলে ভারতের তামিলনাড়ু দল।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় কোনো রান না করে ফিরলেও সাদমান ইসলাম ২২ ও সাইফ হাসান ২০ রান করেন। ৯ রানে মুমিনুল ও ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় দিনে খেলা হয় ২৫ ওভার। এদিন ব্যর্থ হয়েছেন তিন ব্যাটার, মিঠুন (২৬ বলে ১৪), তৌহিদ হৃদয় (৯) ও জাকের আলি অনিক (০)। ফলে ৯৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষ হয় ৬ উইকেটে ১১৪ রানে। মুমিনুল ২৭ ও তাইজুল ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
গতকাল চতুর্থ দিন বাংলাদেশ ব্যাট করার সুযোগ পায় আরও ২১ ওভার। এরমধ্যেই মুমিনুল তুলে নেন ফিফটি। তাইজুলের সাথে অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন ৯৫ রানের। মুমিনুল ১৭৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৬৯ ও তাইজুল ৯১ বলে ৩ চারে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
মিঠুনদের ইনিংস ঘোষণার পর শেষদিন ব্যাটিংয়ে নামে তামিলনাড়ু। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার কৌশিক গান্ধী (০) এলবিডব্লিউ হন পেসার খালেদ আহমেদের বলে। এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়েন শ্রীধর রাজু ও মকিত হরিহরন। মকিতনকে ২১ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর আর ৬.১ ওভার মাঠে গড়ায় খেলা। তাতে ৩৪ রানে শ্রীধর ও ৫ রানে অধিনায়ক প্রাদশ রঞ্জন পাল অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তামিলনাড়ুর দলটিকে এক ইনিংস ও ৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র হওয়ায় তাই সিরিজ জিতে নিল মিঠুনের দল।