ভারতের জম্মু ও কাশ্মির প্রদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান অমরনাথে প্রবল বর্ষণে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪০ জন।
শুক্রবার (০৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে শুরু হওয়া এই বর্ষণ এখনও চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় অমরনাথ গুহা ও নিকটবর্তী কালীমাতা মন্দিরের মাঝামাঝি এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তা প্রবল বানের রূপ নেয়। বৃষ্টি ও বানের পানিতে গুহার পাদদেশে খাটানো তীর্থযাত্রীদের বেশ কয়েকটি তাঁবু ভেসে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় তীর্থযাত্রীদের খাবারের জন্য অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা একাধিক সামষ্টিক রান্নাঘরও (কমিউনিটি কিচেন)।
সীমিত এলাকায় আকস্মিকভাবে অল্প সময়ের প্রবল বর্ষণকে বলা হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বর্ষণ শুরু হওয়ার সময় এসব তাঁবু ও তার আশপাশের এলাকায় ১০ থেকে ১২ হাজার তীর্থযাত্রীর উপস্থিতি ছিল।
এদিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ইন্দো-তিব্বতিয়ান সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) ও ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা।
অতিমাত্রায় বর্ষণের ফলে পাহাড়ের ঢাল থেকে নামা পানিপ্রবাহের কারণেই বান দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে আইটিবিপির এক কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘এখনও এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও তার ফলে এই পাহাড়ি পথের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় আপাতত অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
আহত যাত্রীদের হেলিকপ্টারে করে নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর স্থগিত থাকার পর চলতি বছর ফের শুরু হয়েছে অমরনাথ তীর্থযাত্রা। ৭২ হাজারেরও বেশি পূণ্যার্থী অংশ নিচ্ছেন এই যাত্রায়।