ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস শহরে ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে অন্তত ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) স্থানীয় সরকারি চিকিৎসকদের মাধমে এ তথ্য দেয় এএফপি বার্তা সংস্থা। এদিকে নিহতের সংখ্যা ৫০ বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। এছাড়া হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাতরাস শহরে শিব দেবতার পূজা উপলক্ষে পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন। এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের খবরে বলে, হাতরাসের এসএসপি দপ্তরের তথ্যমতে হাতরাসের মুঘলগড়ী গ্রামে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে এ দুর্ঘটানা ঘটনা ঘটে।
রাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা রাম মোহন তিওয়ারি এএফপিকে জানান, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ পেয়েছি, আরো আসবে বলে ধারণা করছি।’
এ প্রসঙ্গে প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও দুজন পুরুষ। আহত অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
এরকম ঘটনা এর আগেও দেশটিতে অনেকবার ঘটেছে। ২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে নতুন বছর উদ্যাপনের সময় নিষিদ্ধ আতশবাজি ফুটানোর ফলে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। তখন অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০১৩ সালেও মধ্য প্রদেশে মন্দিরের কাছে একটি সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। তখন সেখানে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একপর্যায়ে সেতু ধসে পড়ার গুজুব ছিড়িয়ে পড়লে পদদলির ঘটনা ঘটে।
তাছাড়া ২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে আরো ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।