জিম্বাবুয়েকে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠার পথ অনেকটা সহজ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিনের তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে উঠার পথ কঠিন হয়ে গেল টাইগারদের জন্য।
তিন ম্যাচ শেষে গ্রুপ-২তে ৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পজিশনে আছে ভারত ও বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বর জিম্বাবুয়ে। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ দুটি ম্যাচ আছে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের একটিতে জয় ধরলে ৫ ম্যাচ শেষে প্রোটিয়াদের পয়েন্ট হবে ৭।
বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ আছে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। টাইগারদের সেমিফাইনালে খেলতে হলে উভয় ম্যাচেই জয় পেতে হবে।
টাইগাররা যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে এবং পাকিস্তান নিজেদের আরেক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারায় তখন বাবর আজমদের পয়েন্ট হবে ৫ ম্যাচে ৬।
ভারত যদি বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে হারায় তখন কোহলিদের পয়েন্ট হবে পাঁচ ম্যাচে ৮। তখন ৮ ও ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে যাবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে বাংলাদেশ যদি ভারত-পাকিস্তানকে হারাতে পারে। তখন টাইগারদের পয়েন্ট হবে পাঁচ ম্যাচে ৮। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সেমিতে যাবে টাইগারা। এই সমীকরণ শুধুই কল্পনা বিলাস। কারণ ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে বাজি ধরা পাগলামি!
যদি বাংলাদেশ পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে হেরে ভারতকে হারায় আর ভারত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পায় তখন ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৬ হবে। সেক্ষেত্রে রান রেটে এগিয়ে থাকা দলটি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সেমিতে যাবে।
কাজেই বলাই যায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত হারায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত জয় পেলে ৩ ম্যাচ শেষে ভারতের হতো ৬, বাংলাদেশের ৪, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের ৩ করে। পাকিস্তানের ২।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলে পয়েন্ট হতো ৫ ম্যাচে ৬। ভারত শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে হারালে কোহলিদের হতো ৫ ম্যাচে ১০।
পাকিস্তান পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালে বাবর আজমদের পয়েন্ট হতো ৫ ম্যাচে ৪।
তখন ১০ পয়েন্ট অর্জন করা ভারতের সঙ্গে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের হারে সমীকরণ কঠিন হয়ে গেল।