ভাঙা সড়কে ভোগান্তিতে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন সড়ক। তার মধ্যে কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্ত্বর থেকে জাঙিরাই সেতু পর্যন্ত সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ।

বন্যা পরবর্তী ৬ মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সড়কটি মেরামতে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্দ্যোগ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সড়কটি মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমিত আসুক চত্ত্বর এলাকা থেকে জাঙিরাই সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৫০-২০০ মিটার সড়কের পিচ উঠে অর্ধশতাধিক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে প্রায়ই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

বিশেষ করে রাতের বেলা এ সড়কটি একটি মৃতুকূপে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় প্রাণহানিসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যস্ত এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। ফলে চালক ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ছোট যানবাহনের মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল গর্তে পড়ে উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন।

মিলাদ হোসেনসহ কয়েকজন চালক জানান, এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা থাকায় চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া এদিকে চলাচলের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। এ সড়ক দিয়েই কুলাউড়া-বড়লেখা-বিয়ানীবাজারে যাতায়াত করতে হয়। বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ে। তারা সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সারথী বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়কটি মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।