ব্রিটেনের মূলধারার সিনেমা হলে একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশী সিনেমা। মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখতে ভীড় করছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশীরা। কোন কোন সিনেমা হলে অগ্রিম টিকেটও শেষ হয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটেনে প্রথম সারির সিনেমা হলগুলোতে বাংলা সিনেমা প্রদর্শন শুরু হয়।
৭ জানুয়ারি একযোগে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মোট ১৮টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় মিশন এক্সট্রিম।
মিশন এক্সট্রিম দেখতে মূলধারার সিনেমা হলগুলোতে বাংলাদেশী দর্শকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
মিশন এক্সট্রিমের পর বাংলাদেশ ও দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহে ঝড় তোলা চলচিত্র ‘হাওয়া’ এবার প্রদর্শিত হচ্ছে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের সিনেমা হলে। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমাটি ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে চলছে লন্ডন, বার্মিংহাম, ডাবলিন, শেফিল্ড, বল্টন, ওল্ডহাম, গলওয়ে, লিমেরিকসহ ব্রিটেনের অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহে।
দুটি সিনেমার পরিবেশনার দায়িত্বে ছিল ইউকে ও ইউরোপের সিনেমা চেইনগুলোর রেজিস্ট্রার্ড বাংলা মুভির এক্সক্লুসিভ ডিসট্রিবিউটর ‘রেভেরি ফিল্মস’।
রেভেরি ফিল্মের কর্ণধার রন্টি চৌধুরী জানান, হাওয়া সিনেমাটি নিয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হলে দর্শকদের উপস্থিতিও লক্ষনীয়। অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে অনেক সিনেমা হলে। বাধ্য হয়ে আমাদের শো’র সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনের লন্ডন ও বার্মিংহামের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঢাকাই সিনেমার গুণী অভিনেতা সোহেল রানা প্রযোজিত সিনেমা ‘গোয়িং হোম’।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের সিনেওয়ার্ল্ড, জেনেসিস, স্টার সিটিতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি আয়ারল্যান্ডে মুক্তির সম্ভাবনা আছে।
লন্ডনের বাসিন্দা আজাদ সায়েম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশী মুভির কাহিনী, নির্মাণ অনেক ভালো। মনে হচ্ছে আবারও বাংলা চলচিত্রে সুদিন ফিরছে। যারা ইংল্যান্ডের মাটিতে আমাদের বাংলা সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিচ্ছেন, প্রবাসীদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই তাদের এরকম উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে।
লুটনের বাসিন্দা সুলতানা ফেরদৌসি বলেন, ঘরের কাছেই সিনেমা হল, তাই দেশী সিনেমা আসলেই আমরা দেখতে যাই, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে। মিশন এক্সটিমের পর হাওয়া দেখলাম, দুর্দান্ত একটা মুভি।