ব্রাসেলস থেকে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

বেলজিয়ামে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে।

এর আগে বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগদান শেষে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস ত্যাগ করে দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। ওই সময় বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে গত ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে যান প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।

তিনি ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে ২৫ অক্টোবর সকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর, বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ ছাড়া, এই সফরে বাংলাদেশ সরকার ও ইসি বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি ভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা ২৫ অক্টোবর গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন ও বক্তৃতা করেন। বিকেলে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। ইসি কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক এবং ইসি কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুটা উরপিলাইনেনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ওই দিন সন্ধ্যায় গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডের লেয়েনের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন। ২৬ অক্টোবর সকালে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে দুটি আলাদা বৈঠক করেন।

একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন।