ব্যারিস্টার সুমনের পাশে দাঁড়ালেন মডেল পিয়া

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা চলছে। এই রিট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মডেল অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে পিয়া জান্নাতুল তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ব্যারিস্টার সুমন। পুরো সময় ব্যারিস্টার সুমনের পাশে ছিলেন আইনজীবী ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিয়া জান্নাতুল ব্যারিস্টার সুমনের চেম্বারের অ্যাসোসিয়েটস আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।

বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে কোনো ধরনের ভিডিও তৈরি ও প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার সুমন ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলেন।

সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত এই রিট মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন।

আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন সালাম মুর্শেদীর মেয়ে ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী। ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে, এই বেঞ্চে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত রাজউকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন রাজউকের আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ।

গত ১৬ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি ও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ৬ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটে দুদক ও রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

এরপর ১ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।