ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবলো বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন

সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ১৫৬ রান। ৩৮ ওভার ১ বলের মধ্যে এই রান করতে হতো। তবে পাকিস্তানি পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে লক্ষ্য থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থামতে হয়েছে খুদে টাইগারদের, এরই সাথে ডুবলো সেমিফাইনালের স্বপ্নও।

পাকিস্তানি পেসার উবাইদ শাহর বোলিং তোপেই লন্ডভন্ড বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। একাই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়েছেন এই পেসার।

১৫৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোই। ওপেনার জিশান আলমের ৪ বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত মিলছিলো। তবে উবাইদ শাহের লাফিয়ে ওঠা বলে দলীয় ২৬ রানে উইকেটের পেছনে সাদ বেগকে ক্যাচ দেন তিনি। এরআগে ১২ বলে করেছিলেন ১৯। অপর ওপেনার শিবলিও আউট হয়েছেন একইভাবে। ১১ বলে ৪ রান করেই সাজঘরে তিনি। বোলার সেই উবাইদ শাহ।

এরপর রিজওয়ান আউট হয়েছেন আলী রাজার বলে। ৫০ পেরুনোর আগেই নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। প্রত্যেকেই পেস বোলারদের হাতেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন। আহরার আমিন এবং আরিফুল ইসলাম কিছুটা আশা দেখালেও দলীয় ৭৬ রানে ফিরতে হয় আহরারকে। উবাইদের বলে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন হারুন আরশাদ।

এক রান পরেই শামল হুসাইনের উড়ন্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেছেন মিডল অর্ডারের বড় ভরসা আরিফুল। শেখ পারভেজ জীবনও টিকতে পারেননি। ৯ বলে ২ রান করে পয়েন্টে মিনহাসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বোলার সেই উবাইদ শাহ।

দলীয় ৮৩ রানে যখন ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয় তখন পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শিহাব জেমস আর অধিনায়ক মাহফুজ রাব্বি। দুজনের ৪০ রানের জুটিতে আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে ফের দৃশ্যপটে উবাইদ শাহ। ৪৩ বলে ২৬ রান করা শিহাবকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। দলীয় স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১২৩। এর এক রান পরে ফেরেন অধিনায়ক রাব্বি। এর সাথে তিন রান যোগ করে রান আউটে কাটা পড়েন ইমন। তখনো জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯ রান। হাতে মাত্র একটি উইকেট। সেখান থেকে বর্ষণ আর মারুফ মৃধা করেন আরও ২৩ রান। ৩৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে মারুফ মৃধা যখন আউট হন তখন জয় আর সেমিফাইনাল থেকে মাত্র ৫ রানের দূরত্বে বাংলাদেশ।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং এ নেমে টাইগার বোলার রোহানাত-দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবনের আঁটসাঁট বোলিং এবং উইকেট শিকারের সুবাদে ১৫৫ রানেই আট থামে পাকিস্তানের ইনিংস।