ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী জানতে পারলেন তিনি ‘মৃত’। নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে না পারায় বিদেশ থেকে আত্মীয়ের পাঠানো টাকাও তুলতে পারেননি তিনি।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মসুদের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। মসুদ হাজীপুর ইউনিয়নের ভূঁইগাঁও গ্রামের পাইকপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী। পাইকপাড়া বাজারে তার একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মসুদ। সম্প্রতি বিদেশ থেকে এক আত্মীয়ের পাঠানো টাকা তুলতে মৌলভীবাজার শহরের একটি ব্যাংকে যান। টাকা তুলতে মসুদ তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ব্যাংক কর্মকর্তাকে জমা দিলে তিনি অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করে দেখেন মসুদ দু’মাস আগেই ‘মারা গেছেন’। এ সময় ব্যাংক থেকে মসুদকে টাকা দিতে কর্তৃপক্ষ অপারগতা জানায়।
মসুদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ মে তার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়। এক সপ্তাহ আগে জরুরি কাজের জন্য এক আত্মীয় তার নামে বিদেশ থেকে কিছু টাকা পাঠান। টাকা তুলতে তিনি মৌলভীবাজার জেলা শহরে অবস্থিত একটি ব্যাংকে যান। তবে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে নিজেকে ‘মৃত’ উল্লেখ করা দেখে অবাক হন। পরে তিনি সার্ভার থেকে বিস্তারিত তথ্য ডাউনলোড করেন।
নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে ডাউনলোড করা তথ্য অনুযায়ী, মসুদের জন্ম ১৯৮১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে মসুদের ‘স্ট্যাটাস’ এ দেখা গেছে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর মসুদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, মৌলভীবাজার থেকে ফিরে গত বুধবার তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ‘জীবিত’ মর্মে সনদ সংগ্রহ করেন। পরে বৃহস্পতিবার তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের জন্য আবেদন জমা দেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আহসান ইকবাল বলেন, ভোটার হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারীদের ভুলের কারণে হয়ত এমন সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আবেদন এলে আমরা সংশোধন করে দেবো।