আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বৈধতা পেয়েছেন এ কে আজাদ। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
শুক্রবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর এই রায় দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত আছেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।
দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। আর শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব (যুক্তরাষ্ট্র) সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ তুলে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে তথ্য দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
শুনানি শেষে বের হয়ে এ কে আজাদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের আইনজীবী একটি অভিযোগ দাখিল করেন যে, এ কে আজাদ আমেরিকারও নাগরিক। শুক্রবার কমিশন শুনানিতে শামীম হকের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে কি না। জবাবে তারা বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। পরে তথ্য প্রমাণ না থাকার এ কে আজাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয় ইসি।
এদিকে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করে শুক্রবার।
এরআগে গত বুধবার ইসিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীমের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে শুনানি হয়। পরে শুনানি স্থগিত রেখে ইসি শুক্রবার রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।