চিকিৎসাখাতকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে দেশে দুটি লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার একটি হবে মানিকগঞ্জে আর অন্যটি স্থাপন করা হবে উত্তরবঙ্গে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎকদের সার্জিক্যাল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ১৩ কোটি টিকা দিতে পারলেও বুস্টার ডোজ নিয়েছে মাত্র ৩ কোটি। বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের দোকান খুলে বসেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের আগ্রহ কম। এটা খুবই দুঃখজনক। মানুষের আগ্রহ তৈরি করতে নানা ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাকালে চিকিৎসাখাতে অনেক অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছিল। তখন দেশে অক্সিজেন কম থাকায় ভারত থেকে অক্সিজেন এনে মানুষের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে দেড় থেকে দুইশো টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে। অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যু হার শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। করোনায় যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি। যারা এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন নিলে আপনি যেমন সুরক্ষিত হবেন, পাশাপাশি আপনার পরিবার ও দেশ সুরক্ষিত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক রোগী অর্থ ব্যয় করে বাইরের দেশে যান চিকিৎসা করাতে। একজন ভালো মানের ডাক্তার হতে গেলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশে সেবার জন্য অবকাঠামোর কোনো অভাব নেই। আমাদের প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের অভাব রয়েছে। এজন্য প্রশিক্ষণের ওপর আমরা জোর দিয়েছি। যাতে আমাদের ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান বিশ্বমানের হয়। আমাদের আর বাইরের দেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না হয়।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে মনিটরিংয়ের অভাবে রয়েছে। এতে সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের মানুষ। সারাদেশে ১০ থেকে ২ হাজার বেডের যত হাসপাতাল রয়েছে এগুলো মনিটরিং করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।