বুরকিনা ফাসোর অন্তত ১০০ জন বেসামারিক নাগরিককে হত্যা করেছে অস্ত্রধারীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ জুন) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শনিবার রাতে সেতেঙ্গা জেলায় অস্ত্রধারীরা আক্রমণ করে। ওই এলাকার পুরুষদের উপর আক্রমণ করে। নারী ও শিশুদের হত্যা করা থেকে তারা বিরত ছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। বিদ্রোহীদের হামলার শিকার সীমান্তবর্তী এ এলাকায় আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত যোদ্ধারা হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, সেখান থেকে প্রায় ৩ হাজার লোক বুরকিনা ফাসোর পার্শ্ববর্তী সাহেল অঞ্চলের রাজধানী ডোরিতে পৌঁছেছে। সেখানে সাহায্য সংস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, হামলায় অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার পর মৃতের প্রাথমিক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫ জনে।
অপরদিকে বুরকিনা ফাসোর সরকারের মুখপাত্র লিওনেল বিলগো বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু নিহতের সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয়। সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মরদেহ খুঁজছে। আর তাই মৃতের সংখ্যা আরও ‘বাড়তে পারে’।
২০১৫ সাল থেকে এখানকার হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা ও আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার ও মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বেড়েছে। এসব এলাকার লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।