সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে ১০ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে দু’জন রাজনৈতিক সংগঠনের দলীয় এবং পাঁচজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী রয়েছেন।
বুধবার বিকাল ৫টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জামানত হারানো মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জগ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন (১৪৯৯ ভোট), কম্পিউটার প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাব হোসেন সাজু (১৪৬৩ ভোট), হ্যাঙার প্রতিকের স্বতন্ত্র আব্দুস সামাদ আজাদ (১১৬৪ ভোট), হেলমেট প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ টিটু (৬৭১ ভোট), নারিকেল গাছ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অজি উদ্দিন (২১৫ ভোট), জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিকের দলীয় প্রার্থী সুনাম উদ্দিন (১৩৮ ভোট) ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় প্রার্থী কাস্তে প্রতিকের আবুল কাশেম (১৭৩ ভোট)।
এই নির্বাচনে হ্যাভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পেছনে ফেলে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চামচ প্রতিকের জিএস ফারুকুল হক। প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে ১০টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৪১০০ ভোট পেয়ে শীর্ষে অবস্থানে করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চামচ প্রতিকের জি এস ফারুকুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর পেয়েছেন ২৩১৮ ভোট। এরপরেই তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের মো. আব্দুস শুকুর। তিনি পেয়েছেন ২২৭০ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ‘সিলেট ভয়েস’কে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে বুধবার নির্বাচনের দিন ইভিএমে ভোট দিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৬জন ভোটার। সবগুলো কেন্দ্রের মোট কাস্ট হওয়া ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ (প্রায় ১ হাজার ৭৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট) না পাওয়ায় ওই সাতজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।