বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১০টি ভোটকেন্দ্র। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই হেরেছেন নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর। এসব কেন্দ্রের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনে মেয়র পদে চমক দেখিয়ে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিএস ফারুকুল হক প্রায় দেড় হাজারের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে ১০টি কেন্দ্রে ৪১০০ ভোট পেয়ে শীর্ষে অবস্থানে করছেন জি এস ফারুকুল হক (চামচ প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুর ২৩১৮ ভোট। এরপরেই তৃতীয় অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আব্দুস শুকুর ২২৭০ ভোট।
এবারের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আরও ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরসভার শ্রীধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ৪র্থ, কসবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২য়, কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২য়, খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২য়, পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩য়, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ও বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩য়, খাসাড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য়, নিদনপুর সুপাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ এবং নিদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় স্থান অর্জন করেন।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কম্পিউটার প্রতীকের আহবাব হোসেন সাজু ১৪৬৩ ভোট এবং অপর বিদ্রোহী হেলমেট প্রতীকের আব্দুল কুদ্দুছ টিটু ৬৭১ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জগ প্রতীকের তফজ্জুল হোসেন ১৪৯৯ ভোট, হ্যাঙার প্রতীকের আব্দুস সামাদ আজাদ ১১৬৪ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতীকের অজি উদ্দিন ২১৫ ভোট, লাঙল প্রতীকের সুনাম উদ্দিন ১৩৮ ভোট ও কাস্তে প্রতিকের আবুল কাশেম ১৭৩ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।