বিয়ানীবাজার উপজেলা সাম্প্রতিক বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রায় ১১০ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নামায় বন্যার ভয়াবহতার চিহ্ন নিয়ে বেরিয়ে আসছে এসব সড়কে। বন্যার পানির তোড়ে সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ ও পাথর সরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। কোনো কোনো সড়ক ঢলে ভেঙে গেছে।
এমন বাস্তবতায় সড়কে চলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিয়ানীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বন্যায় তাদের অধীনে থাকা ১০টি উপজেলা সড়কের ৪০ কিলোমিটার, ৭টি ইউনিয়ন সড়কের ২০ কিলোমিটার এবং ৪০টি গ্রামীণ সড়কের ৫০ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের পরিমাণ প্রায় ১১০ কিলোমিটার।
ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কগুলো হচ্ছে, বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক, বিয়ানীবাজার-বহরগ্রাম সড়ক, বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ সড়ক, বিয়ানীবাজার-সারপার সড়ক, নালবহর-দাসউরা বাজার সড়ক, শহীদ টিল্লা-কাজিরবাজার সড়ক, শেওলা-সুতারকান্দি সড়ক, ঈদ্গাহ বাজার-নালবহর রাস্তা, তিলপাড়া-মাটিজুরা রাস্তা, বৈরাগীবাজার-কুড়ারবাজার রাস্তা, মেওয়া পয়েন্ট-ফেরিঘাট রাস্তা, পঞ্চগ্রাম রাস্তা, জালালনগর রাস্তা, ঢেলাখানি-কোনা রাস্তা, খাড়াভরা ও চরিয়া গ্রামীন সড়ক, সাচান-চক ও বিলুয়া রাস্তা, কচকটখা আভ্যন্তরীন,নইরচক গ্রামীন রাস্তা, সাফা-ইয়াবল রাস্তা, মুরাদ্গঞ্জ-বারইগ্রাম আভ্যন্তরীণ সড়ক, জীরখাই গ্রামীন রাস্তা, বৈরাগীবাজার-আঙ্গারজুর রাস্তা,ঢেউনগর-দীঘলবাক ডাইক রাস্তা, পূর্ব আলীনগর রাস্তা, রায়খাইল রাস্তা, কনকলস রাস্তা, খাদিমলিক-করগ্রাম রাস্তা, চন্দগ্রাম গ্রামীন রাস্তা, ঢেউনগর-বালিঙ্গা সড়ক।
এলজিইডির অধীন বিয়ানীবাজার উপজেলার বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক। গত বৃহস্পতিবার ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, পানির তোড়ে সড়কের নালবহর থেকে তিলপাড়া ইটভাটা পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে স্থানে ভেঙে গেছে সড়ক। সড়কের মাঝখানেই তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। পানি উঠে যাওয়া বেশির ভাগ সড়কেরই এমন অবস্থা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে। এসব সড়কের বিভিন্ন অংশে বন্যায় পিচ ও পাথর সরে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় ধস দেখা দিয়েছে।
এলজিইডি বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক থেকে বন্যার পানি নামার সাথে সাথে রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেরিয়ে আসছে। আমরা সরেজমিনে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা তৈরি করছি। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণসহ ৫৭টি সড়কের বিভিন্ন অংশ মিলিয়ে প্রায় ১১০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলে, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে আমরা জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা সড়কগুলোর ১৫ কিলোমিটার অংশ মেরামত করে দিচ্ছি।’