সারা বিশ্বের ন্যায় সিলেটেও আজ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা রেডক্রিসেন্ট পতাকা, র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
সোমবার (০৮ মে) সকালে নগরীর সারদা হল সংলগ্ন রেডক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ইউনিট কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য শান্তি র্যালি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিটি চৌহাট্টাস্থ রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। পরে রেডক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের হল রুমে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রেড ক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুজ্জামান চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুব প্রধান মো. নাজিম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ, সিলেট ইউনিটের সেক্রেটারি মো. আব্দুর রহমান জামিল, রেডক্রিসেন্ট নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল রেনুরা আক্তার, কার্যকরী কমিটির সদস্য ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, সোয়েব আহমদ, মজির উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, আজীবন সদস্য সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এম এ হান্নান, সাংবাদিক আবদুল বাতিন ফয়সল, রেডক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের সাবেক যুব প্রধান আমিনুল ইসলাম, এনামুল হক চৌধুরী সুহেল, সিলেট ইউনিটের উপ পরিচালক কাজী জানে আলম, পিপিপি প্রকল্পের সিলেট ইউনিটের হেলথ সুপার ভাইজার এবিএম মোয়াজ্জেম হোসেন, ফিল্ড অফিসার আব্দুর রাকিব, আজীবন সদস্য আমিনুর রহমান পাপ্পু, আতিকুর রহমান নগরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব প্রধান পলাশ গুণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে যুবরেডক্রিসেন্ট সদস্য আবু জাকারীন নিজামী ও গীতা পাঠ করেন সুমিত অধিকারী।
প্রধান অতিথির বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন, রেডক্রিসেন্ট সবসময় মানবতার সেবায় কাজ করে। যে কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে সর্বপ্রথম যারা মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসে, তারা হচ্ছে রেডক্রিসেন্টের প্রতিনিধি। ‘আসুন মানবতার শক্তিতে বিশ্বাস রাখি’ এই মূলমন্ত্রে রেড ক্রিসেন্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট যে কার্য্যক্রম শুরু করেছিলেন সেই কৃতকর্মের মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বে মানুষের মধ্যে বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার দুই ভাইয়ের যখন কোন খবর পাচ্ছিলাম না তখন রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে আমার ভাইয়েরা জীবিত থাকার খবর পাই। একজন ছিলেন এয়ারফোর্সে, অন্যজন আর্মিতে এবং স্বাধীনতার পর তারা দেশে ফিরে আসেন। এজন্য রেডক্রিসেন্টের সে অবদান আমি ভুলতে পারবো না।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা জীন হেনরী ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছর তার জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে উদযাপন করা হয়।