গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন দেশের বৃহত্তর জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে নামাজ শুরু হয়।
এতে ইমামতি করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। এ জামাতে অংশ নিতে রাত থেকেই মুসল্লিরা ভিড় করেন ইজতেমার ময়দানে।
এর আগে শুক্রবার ফজর নামাজের পর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেন।
প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিপুলসংখ্যক মুসল্লি জমায়েত হবেন বলে আশা আয়োজক কমিটির।
রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার হেঁটে, ট্রাকে, পিকআপ গাড়ি নিয়ে যে যেভাবে পারেন, ইজতেমায় পৌঁছেছেন। মুসল্লিরা তাদের প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।
মাওলানা সাদ অনুসারী তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ইজতেমায় বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। এখানে তারা শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।
সায়েম বলেন, দেশের সব জেলা থেকে ৮৫ খিত্তার নজমের জামাত ইতিমধ্যে ময়দানে চলে এসেছেন। প্রতি খিত্তার জামাত, সেন্ট্রাল জামাতসহ দুই জামাতের প্রায় ২০ হাজার সাথি ময়দানে অবস্থান করছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। ইজতেমায় লাখ লাখ মানুষ আসবেন। আমাদের কাজ হলো যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।