শরীরে পুশ করার করোনা ভ্যাকসিন বাজারে এসেছে বেশ আগেই। তবে বিশ্বে এই প্রথম নাকে দেওয়ার করোনা ভ্যাকসিন ‘ইনকোভ্যাক’ বাজারে এনেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. মনসুখ মান্দাভিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই ভ্যাকসিনের উদ্বোধন করেছেন।
হায়দরাবাদ-ভিত্তিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিন দেশটির সরকারের কাছে ৩২৫ রুপি (বাংলাদেশি ৪১১ টাকার বেশি) এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৮০০ রুপিতে (এক হাজার ১৪ টাকা) বিক্রি হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক দুই ডোজ করোনা টিকা যারা নিয়েছেন, তারা বুস্টার ডোজ হিসেবে ‘ইনকোভ্যাক’ নিতে পারবেন বলে অনুমোদন দেয় দেশটির সরকার।
এর আগে, ভারতের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে নাকে দেওয়ার ভ্যাকসিন ‘ইনকোভ্যাক’ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ইনকোভ্যাকের দু’টি ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে ব্যবহার করতে হবে।
যারা করোনাভাইরাসের সতর্কতা বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তারা নাকের ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না বলে গত মাসে এনডিটিভিকে জানিয়েছিলেন ভারতের সরকারের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেকের মতে, এখন যে কেউ চাইলে কোউইন (CoWin) ওয়েবসাইটে গিয়ে ইনকোভ্যাকের ডোজ নেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইনকোভ্যাক ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। পরে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালসহ প্রাক-ক্লিনিক্যাল সুরক্ষা মূল্যায়ন, বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন ও সরবরাহ সংক্রান্ত ডিভাইস উৎপাদন করে ভারতের এই সংস্থাটি।
ভারতের সরকার কোভিড সুরক্ষা কর্মসূচির বায়োটেকনোলজি বিভাগের মাধ্যমে ইনকোভ্যাক ভ্যাকসিন তৈরি এবং এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কিছু অংশে অর্থায়ন করেছে।
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।