সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সেই নেতাকে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে স্ব-পরিবারে হত্যা করে মোশতাক চক্র। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানী ও দেশবাসীর দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে সক্ষম হয়। এই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা এখনো সরকার পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যে কারণে দেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসাবে বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তার এই ঘোষণার সফল বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ১৫ই আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে হবে।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাতক-দোয়ারা আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাউয়া বাজার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস শহিদ মুকিত।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান আকলুছ মিয়া ও প্রভাষক নাজমুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু শাহাদাত মো. লাহিন, ছাতক পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, জাউয়া বাজার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিশংকর ভৌমিক, কমিউনিটি নেতা শিক্ষাবিদ আইয়ুব করম আলী, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, জাউয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা আসক উদ্দিন, আব্দুল হক, মাস্টার নাসির উদ্দীন, আকবর আলী, প্রভাষক গৌছুল হক নাইম, রতন কুমার দে, ফয়জুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মো. নূরুজ্জামান, কবির আহমদ, আব্দুল কদ্দূছ সুমন, আজির উদ্দিন, আমতর আলী, নুনু মিয়া, আলমগীর হোসেন, এহসান আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃপেশ চন্দ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাজামুল হক রিপন, ছাত্রলীগ নেতা খালেদ আহমদ, মাহতাব আহমেদ, নোমান মিয়া, রুয়েল আহমদ তালুকদার, সালমান ফারসী প্রমুখ।