বিশ্বনাথে মাদরাসার অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব হস্তান্তর

সিলেটের বিশ্বনাথ দারুল উলূম ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে মাদরাসার অধ্যক্ষ নোমান আহমদ অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নাজিম উদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এর আগে, স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবকসহ মাদরাসার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে জোড় হয়ে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে স্থানীয় ইউ/পি চেয়ারম্যান হাজি দয়াল উদ্দিনসহ পুুলিশের হস্তক্ষেপে মাদ্রাসার অফিশিয়াল প্যাডে লিখিতভাবে অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব থেকে সরে যান নোমান আহমদ।

স্থানীয় এলাকাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়বুর রহমান (বাল্লার হুজুর) যখন অবসরপ্রাপ্ত হন, অধ্যক্ষ নোমান আহমদ তখন তৈয়বুর রহমানের পেনশনের কাগজে দস্তখত দেননি। যার জন্য আজ পর্যন্ত বাল্লার হুজুর’ পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। অধ্যক্ষ নোমান আহমদ মাদরাসার সম্পদকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ বানিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে কালো টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া মাদরাসায় অফিস সহকারী পদে তাঁর (অধ্যক্ষ) বড় ভাই মো. শরীফ উদ্দিন (ইনডেক্স নং ২০২৯৫৬৪) নিয়োগ দিয়ে মাদরাসায় দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন।

নোমান আহমদ অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের ভবিষ্যত তহবিল হিসাব বন্ধ রেখেছেন। সদরের পশ্চিম চান্দশীর কাপন গ্রামের কাসেম আলী (বড় মৌলভী) সাহেব যিনি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা তাঁর নাম ফলক মুছে দিয়ে অধ্যক্ষ নোমান আহমদ তার পিতার নামে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আসছেন বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর নোমান আহমদ আরবী প্রভাষক হিসাবে বিশ্বনাথ দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসায় যোগ দেন। পরে ২০১০ সালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।