বিশ্বনাথে বন্যায় ব্রিজ দেবে গিয়ে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের (সাবেক ৫নং) বর্তমান ২নং ওয়ার্ডে আমিরতি নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা।

সম্প্রতি বন্যার পানিতে ব্রিজটির দু’পাশ দেবে গেছে। ফাটল ধরেছে ব্রিজের নিচ দিকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন স্থানীয়রা। যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা জনসাধারণ। দ্রুত ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, বিশ্বনাথের সদর ইউনিয়নের (সাবেক ৫নং) বর্তমান ২নং ওয়ার্ডের তাজমহরম গ্রামের ব্রিজটির অবস্থান। ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকে সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। সম্প্রতি বন্যার পানিতে ব্রিজটির দু’পাশ দেবে গেছে। ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ না করা হলে যেকোনো সময় পুরো ব্রিজ ভেঙ্গে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ওই গ্রামের প্রবেশপথটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবসেন, ৩নং অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা, বাঘমারাসহ কয়েকটি গ্রামের শতশত লোকজন যাতায়াত করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দেশ স্বাধীনের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সংযোগ স্থাপনে তাজমহরম এলাকায় আমিরতি নদীর ওপর নির্মিত হয় ব্রিজটি। কয়েক বছর আগে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ডের সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তারা বিষয়টি দেখছেন বলে আশ্বাস দেন।

বাঘমারা গ্রামের সবজি বিক্রেতা শরিফ মিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে গ্রামটি হওয়ায় সহজে আমরা শাক-সবজি নিয়ে বাজারে যাতায়াত করতে পারি এই ব্রিজ দিয়ে। ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যদি একেবারে ভেঙ্গে যায় তাহলে আমরা লালাবাজার হয়ে আশপাশের বাজারে যেতে হবে। এতে আমাদের খরচ আরো বাড়বে।’

সদর ইউনিয়নের তাজমহরম গ্রামের সিতাব শাহীন জানান, কয়েক বছর আগে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বিষয়টি জানানো হয়। ৬ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই ব্রিজ করে দেওয়ার ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিলেন। সময় পেরিয়ে গেলে আজও ব্রিজটি আলোর মুখ দেখেনি। ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছি। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

একই এলাকার হাবিবুর রহমান জানান, আমিরতি নদীর ওপর ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় হাটবাজার করতে গেলেও ভয় লাগে। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে এ ব্রিজ দিয়ে। দ্রুত সময়ে মেরামত না করা হলে যেকোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের তালিকা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। নতুন করে ব্রিজ করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।