মঙ্গলবার এক মাসের মধ্যে ইউরোপের শেয়ারবাজারের সূচক পৌঁছেছিল সর্বোচ্চ উচ্চতায়। কিন্তু একদিনে ব্যবধানে বুধবার ইউরোপীয় শেয়ারের পতন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সূচকেরও পতন ঘটে। জাপানের নিক্কেই মার্চের পর একদিনে সবচেয়ে বড় পতন দেখেছে। বুধবার এই সূচক কমেছে এক দশমিক ছয় শতাংশ।
মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এমএসসিআইয়ের বিশ্ব ইকুইটি সূচক মঙ্গলবার প্রায় সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ওঠার পর বুধবার পতনের মুখে পড়েছে। হংকং এবং চীনের শেয়ারবাজার ছুটির কারণে বন্ধ থাকায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেনে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য নানা তথ্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
মঙ্গলবারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সুযোগ ফেব্রুয়ারিতে প্রায় দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। সোমবারের তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন ক্ষমতা অতীতের চেয়ে দুর্বল হয়েছে।
ইউরোপের অর্থনৈতিক সেবাদানকারী গ্রুপ নর্ডিয়ার প্রধান বিশ্লেষক ইয়ান ফন গেরিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ব্যাংকিং নিয়ে উদ্বেগ আছেই। তবে আপাতত জোর দেয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক তথ্য এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির ওপর।
তিনি বলেন, ‘বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করার কোনও নির্দিষ্ট উপায় নেই। তবে প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক তথ্য ইকুইটির জন্য ইতিবাচক হবে না।’