বিশ্বজুড়ে করোনায় আরও ৫৪২ মৃত্যু

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৫৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩১৬ জন।

রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৬১ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ১১৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, তাইওয়ান ও ব্রাজিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৮৭ জন এবং মারা গেছেন ১০১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ হাজার ১৫৯ জন মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি এক লাখ ৬২ হাজার ৫১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ দুই হাজার ৫০৫ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৮ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। তাইওয়ানে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৪০৬ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।