জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১ রানে বোল্ড হয়েছিলেন লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ভালো শুরু পেয়েছিলেন। প্রথম ৯ বলে ১৭ করার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ২৫ বলে আউট হন ২৩ রান করে। লুক জঙ্গুইর স্লো ডেলিভারিতে উঠিয়ে দেন লোপ্পা ক্যাচ।
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও রান খরায় থাকা লিটন দাসকে নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপের আগে তার ব্যাটে জড়তা দেখা গেলেও সহকারী কোচ নিক পোথাস বলছেন, অবিশ্বাস্য এক টুর্নামেন্টের আগে স্রেফ এক ম্যাচ দূরে আছেন এই ব্যাটার।
গত কয়েকদিন ধরেই ডানহাতি ব্যাটারকে দেখা যাচ্ছে না সেরা ছন্দে। কিছুটা জড়সড়ো হয়ে খেলছেন তিনি। বিশ্বকাপ সামনে থাকায় দলের সবচেয়ে সিনিয়র ওপেনারের ফর্ম নিশ্চিতভাবেই উদ্বেগের কারণ হওয়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্টের।
সোমবার ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিন লিটনকে নিয়ে পোথাসের কাছে প্রশ্ন গেলে তিনি পাশে দাঁড়ান এই ব্যাটারের, ‘আমার মনে হয় এটা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি (লিটন সংগ্রাম করছেন কিনা)। লিটন দাস আমাদেরকে অনেক কিছু দিচ্ছে। সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। অবিশ্বাস্য বিশ্বকাপ থেকে সে মাত্র এক ইনিংস দূরে আছে। কাজেই কোন সন্দেহ নেই লিটন দাস অনেক রান করবে, যেটা সে আগেও করেছে। সে আমাদের দলের জন্য অনেক কিছু। সে ফিল্ডিংয়ে যা দিচ্ছে, সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে সে যে ভূমিকা রাখছে। আপনারা যা দেখছেন তার থেকে অনেক বেশি সে দলে অবদান রাখছে।’
রোববারের ম্যাচে ব্যাটে সেরা অবস্থায় না থাকলেও ফিল্ডিংয়ে দুই ক্যাচ নেন লিটন, যার একটি ছিলো চোখ ধাঁধানো। তবে মূল কাজে এখনো তিনি রেখে দিচ্ছেন সংশয়।
এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সফলতম ওপেনার লিটন। সর্বোচ্চ রান, সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেটও তার। তবে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে তাকে দেখা যাচ্ছে নিজের ছায়া হয়ে। ৫ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে স্রেফ ৬৭ রান, গড় ১৩.৪০, স্ট্রাইকরেট ১০১.৫১। অথচ ১০ শেষ ১০ ম্যাচ ধরলে আবার সেটা ২৭.৬৬ গড় আর ১২৩.২৬ স্ট্রাইকরেটে ২৪৯ রান। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সময়ে অন্য সংস্করণে ব্যর্থতার চাপ তিনি নিয়ে এসেছেন টি-টোয়েন্টিতেও।