বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সুপাতলা এলাকার একটি মোটরসাইকেলের শোরুম থেকে দুটি হিরো কোম্পানির মোটরসাইকেল ও নগদ প্রায় দেড় লাখ টাকা চুরির ঘটনা নিয়ে রহস্য জট বেঁধেছে। শনিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় শোরুমটিতে চুরি সংঘটিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আলিশা মটরস শোরুমের ভেতরের সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে অচল রয়েছে। রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোরুমে এসে দেখেন শোরুমের পাশের সার্ভেসিং রুমে তালা নেই। ভেতরে থাকা হিরো কোম্পানি গ্ল্যাামার ও স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেলও নেই।
শনিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় শোরুমটি চুরি গেলেও বন্ধ সার্টারের পাশে কোন ভাঙ্গা তালা পাওয়া যায়নি। এমনকি আশপাশেও মিলেনি তালার হদিস। একইসাথে চুরি যাওয়া গাড়ির শোরুম থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উধাও হয়েছে।
শোরুম ম্যানেজার সুলতান আহমদ জানান, ভেতরে গিয়ে তারা দেখেন ক্যাশ কাউন্টারের মেঝেতে ক্যাশ ড্রয়ার ও কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা ছিল। অথচ ক্যাশ কাউন্টারের তালাটি অক্ষত আছে। এই ক্যাশ ড্রয়ারে শনিবার রাতে যাবার সময় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬০ টাকা রেখেছিলেন বলে জানান তিনি।
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার হবে জানিয়ে আলিশা মটরসের স্বত্বাধিকারী জুয়েল আহমদ বলেন, এরকম ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
এদিকে, খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলালসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং শোরুম ম্যানেজার ও সুপাই ভাইজারের সাথে কথা বলেন।
ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হয়েছে ঘটনাটি ’রহস্যজনক’। শোরুম মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।