হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড়ের টাকা চুরি ও লাগেজ ভাঙার ঘটনা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তা ইমরানকে অক্ষতভাবে সব লাগেজ হস্তান্তর করা হয়। পাঁচটি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে লাগেজ ভাঙা, চুরি- এসবের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাফুফে কর্মকর্তা অক্ষত অবস্থায় লাগেজ বুঝে নিয়েছেন।
বিমানের ল্যান্ডিং এরিয়া, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় ট্রলির আগমন, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ার প্রথম লাগেজ ড্রপ, বেল্ট নম্বর ৮-এ লাগেজ আসা, ব্যাগেজ মেকআপ এরিয়ায় সর্বশেষ লাগেজ আসা- এই পাঁচটি এরিয়ার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানান গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
এর আগে এপিবিএনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, লাগেজ থেকে ডলার বা টাকা খোয়া গেছে এবিষয়ে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি। আমরা সংবাদ দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে লাগেজ খুঁজতে ও প্রকৃত ঘটনা জানতে সহজ হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানান, লাগেজের তালা ভেঙে ফুটবলার কৃষ্ণার ৯০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা এবং শামসুন্নাহারের ৪০০ ডলার চুরি করা হয়েছে।