বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেছেন, সিলেট বিভাগে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর বসবাস। ফলে বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্মিলনের অন্যতম অঞ্চল সিলেট। এজন্য বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে ব্যাংকার্সরা পরিকল্পনা করে সংস্কৃতি ও নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। ব্যাংকার্স ক্লাব শুধু খেলাধুলা নয়, পাশাপাশি সমন্বয় সাধন করে চক্ষু ক্যাম্প, রক্তদান কর্মসূচি ও সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।
আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের প্রশিক্ষণ হলে ব্যাংকার্স ক্লাব সিলেট আয়োজিত সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ব্যাংকার্স ক্লাব সিলেটের সভাপতি ও ইসলামী ব্যাংকের এসএভিপি সৈয়দ মোহাম্মদ নকীব হোসেইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হক।
ব্যাংকার্স ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক সিতাংশু শেখর রায়, আনোয়ার হোসেন রনি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকতারের সম্মিলিত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংক অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুল হাদী।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংকের ইভিপি ও জোন প্রধান শিকদার মুহাম্মদ শিহাবুদ্দীন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জোনাল হেড ও ভিপি ফয়ছল আহমদ, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের এজিএম আইন ড. মো. আবু তাহের, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবজ্যোতি মজুমদার, ওয়ান ব্যাংকের ইনচার্জ মোশতাক চৌধুরী ও ইষ্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের এফএভিপি ও ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার চৌধুরী তামান হাছিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ সামসুদ্দিন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পরিচালক রূপ রতন পাইন, অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সম্পাদক রাজেশ্বর ভট্টাচার্য্য, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুম, সিবিএর সভাপতি মো. আজিজুর রহমান।
সুমী দাস ও জুয়েল কুমার সাহার পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা মো. আবুল কাশেম ও গীতা পাঠ করেন লক্ষী কান্ত দাশ।