‘বিবাহিত ও চাকরিজীবিদের দখলে ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগ’

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ, অধিকাংশ সদস্য বিবাহিত ও সরকারি চাকরিজীবি এমন অভিযোগে এনে কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশ

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল খান।

সংবাদ সম্মেলনে শাকিল বলেন, জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ২৮ জুুন ২১ সদস্য বিশিষ্ট ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের এক বছর মেয়াদী কমিটি ঘোষাণা করা হয়। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের ২৮ জুন। বর্তমানে কমিটির ২১ জন সদস্যের মধ্যে ১২ জনই বিবাহিত। তিনজন জেলা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও সরকারি চাকুরিজীবি।

সংবাদ সম্মেলনে বিবাহিত নেতাদের তালিকাও দেন শাকিল। তারা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসনে, সহ- সভাপতি মিথুন তালুকদার, মহি উদ্দিন ফরহাদ, সুজাত আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সানি, হাসান আহমেদ রিয়াদ, সাংগঠিক সম্পাদক অজয় সরকার, মেহেদী হাসান বাবর, সাদ্দাম হোসেন সাগর, আমির উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমেদ ইমন এবং সংবাদ সম্মেলন করা শাকিল খান নিজে। এছাড়া একইসাথে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের পদ নিয়ে আছেন সহ- সভাপতি জাকির হোসেন, নাদিম কবীর। সরকারি চাকরিতে কর্মরত শোভন চৌধুরী টিটু।

শাকিল অভিযোগ করেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা কোনো বর্ধিত সভা করতে পারেনি। তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদ আল আমিন খান উপজেলা ছাত্রলীগের কোনা বর্ধিত সভা না করেই চলতি মাসের ২১ তারিখ পাইকুরাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী সভা আহ্বানের নাম করে ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র ছাত্রলীগকে আরো গতিশীল করার লক্ষে বিবাহিতদের দ্বারা গঠিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটির দাবি জানান শাকিল।

এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরমান আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সালমান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর প্রমুখ।

তবে তার এ দাবির সাথে একমত উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর (বিবাহিত)। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের এখন অনেক নেতাকর্মী আছে। আর আমরা যারা বিবাহিত আছি তাদের বাদ দিয়ে নতুনদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলে দল আরো গতিশীল হবে।’

আর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (বিবাহিত) বলেন, ‘সাংসদ ও জেলা কমিটির পরামর্শক্রমে আমরা পাইকুরাটি ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছি। এর আগে বর্ধিত সভা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা সিভি আহ্বান করেছি। বর্ধিত সভা করা হয়নি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংকর কান্তি দে বলেন, ‘ আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন কমিটি দেওয়া হবে।’