বিদ্যুতের জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ৪ অক্টোবরের বিপর্যয়ের ঘটনায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই দুই কর্মকর্তার একজন পিজিসিবির উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অপরজন সহকারী প্রকৌশলী পদমর্যাদার।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর মধ্যে পিজিসিবির তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী এই দুই কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদের চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিতরণ সংস্থার আরও কয়েকজন কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা থাকতে পারে। অন্যান্য তদন্তে বাকি যারা জড়িত আছে তাদের নামও বেরিয়ে আসবে। তখন তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অঞ্চলে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। এ ঘটনার পর বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক হতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ব্ল্যাক আউটের ঘটনায় ওইদিনই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক (পিঅ্যান্ডডি) ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীকে এ কমিটির প্রধান করা হয়।
এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে গ্রিড বিভ্রাটের কারণে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। গত আট বছরে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দিলে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের বিশাল এলাকা ৪০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। তার ২৩ দিন পর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪ মিনিটে পুনরায় বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলো। এর আগে ২০০২, ২০০৭, ২০০৯ সালেও গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।