বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চক্রান্ত বন্ধের দাবিতে নগরীতে মানবব্ন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশর সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখা।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮ ও ৯ জানুয়ারি গ্রাহক শুনানি জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দেবে বিদ্যুতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, এত ভর্তুকি সরকারের পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তাছাড়া আইএমএফও বলেছে ঋণ পেতে হলে এসব ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে। কিন্তু বিদ্যুৎখাতের বড় ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বেসরকারী কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ। যে কেন্দ্রগুলোর দরকারই ছিল না এবং যেগুলোর সময় বাড়ানোরও দরকার ছিল না।
এছাড়া রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কোন উৎপাদন না করলেও বসিয়ে রেখে ১১ বছরে তাদেরকে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না অথচ তাদের মুনাফা হচ্ছে। কারণ দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের কাজই হলো জনগণকে বিদ্যুৎ না দিয়ে একটি গোষ্ঠীকে মুনাফা লুটতে দেয়া। ফলে ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত জনগণই। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিণতিতে আবারও দেশে সব জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বাড়বে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে জনজীবন দিশেহারা, তার উপর বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি জনদুর্ভোগ আরও বড়াবে।’
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য নয় বরং বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য গ্রাহক শুনানি করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির চক্রান্ত রুখে দিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, নাজিকুল ইসলাম রানা, মনজুর আহমদ, ইউসুফ আলী, জাহেদ আহমদ, শহিদ আলী, নুরুল ইসলাম, আকবর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মেহেদি আহমদ প্রমুখ।