গত এক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিনে ও রাতের বেলা গড়ে ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা। এ অবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা। ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখাও। এদিকে বিদ্যুতের এমন টালবাহানায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বাদাঘাট সাব-স্টেশনের অধীনে ৪৪ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। এর জন্য প্রতিদিন গড়ে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় ও লাইন মেরামত জনিত কারণে কিছুদিন ধরে গড়ে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আফজালুল হক শিপলু বলেন, কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। গরমে যখন মানুষের বেশি করে বিদ্যুৎ দরকার, তখন বিদুৎ পাওয়া না। তাছাড়া ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য অনেকের বাসা-বাড়ির ইলেকট্রনিক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাতের বেলা দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। গরমে তখন সবার হাঁসফাঁস অবস্থা।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরির আবেদনসহ অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন সারোয়ার ডিজিটাল কর্ণারের মালিক সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেন, বিদ্যুৎ কখন আসে, কখন যায় বুঝা মুশকিল। এসময়টাতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনের কাজ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদন করতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকছে।
লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তাহিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম ইমরান হোসেন জনি বলেন, গরমে চাহিদা বেড়ে গেছে ও জাতীয়ভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবারহ করা হচ্ছে কম যেকারণে এমন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি বাড়লে বা তাপমাত্রা কমে গেলে এমন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।