দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানবিক করে তুলতে বিদেশি কারিকুলামে (শিক্ষাক্রম) পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত বিষয় বাধ্যতামূলক করা হবে। পড়াতে হবে বাংলা, বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়। এসব সরকার নির্ধারিত বিষয় পড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে বাতিল করা হবে সেই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো শিক্ষা আইনের খসড়ায় এমন বিধান রাখা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খসড়া পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, সচিব কমিটিতে খসড়াটি অনুমোদন হওয়ার পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন হলে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে।
এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, সব শিক্ষার্থীকে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে হবে। যে মাধ্যমেই হোক বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি জানতে হবে। সরকার অনুমোদিত বিদেশি শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানবিক করে তুলতে শিক্ষায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
শিক্ষা আইনের খসড়ায় বিদেশি শিক্ষাক্রমে পরিচালিত স্কুল বলতে যেসব প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে ইংরেজি বা অন্য কোনও বিদেশি ভাষায় পাঠদান এবং স্বীকৃত বা অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার এবং সনদ বিতরণ করা হয় এমন প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে।
বিদেশি কারিকুলাম অনুসরণ করা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনের খসড়ায় বলা হয়, ‘বিদেশি শিক্ষাক্রমের আওতায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক্রমে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই বিধানের কোনও প্রকার ব্যতিক্রম করা হলে সরকার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
সরকার নির্ধারিত কোনও বিষয় বাধ্যতামূলক করা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় সময় সময় সরকার বাধ্যতামূলক করবে। বিদেশি শিক্ষাক্রমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় পড়াতে প্রয়োজনে বিধিমালাও করা হতে পারে।