বিদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়াকে এমন হইচই না করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কারণেই তারা (বিদেশীরা) পাত্তা পাচ্ছে। আপনারা বিদেশীদের কাভার করা বন্ধ করেন। যদি আপনারা কাভারেজ বন্ধ করলে পরের দিন থেকে তারা ঘরে বসে হুক্কা টানবে।’
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে একটি মতবিনিময় সভা শেষে ঢাকায় নিখোঁজ এক বিএনপি নেতার বাসায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের যাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। তারা আমাদের মাঝে-মধ্যে যে সুপারিশ দেয়, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক। কারণ, এ দেশ হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম দেশ। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানে এদেশের মানুষ।
তিনি বলেন, এদেশে নির্বাচনে ৭০-৮০ ভাগ লোক ভোট দেয়। একেকটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু অনেক দেশে ২৫-৩০ ভাগ লোকও ভোট দেয় না। নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ তারা এসে আমাদের দেশে ‘বকবক’ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়েছে। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে।
সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার সাহসে দেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দারিদ্র একটা বড় অভিশাপ, আমরা দারিদ্রকে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। আমাদের এখানে ১৪ বছরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে। দুনিয়াতে যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সে দেশগুলো উন্নত হয়। যেখানে অশান্তি সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। অথচ আমাদের কিছু লোকজন শান্তি চায় না, কারণ অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা আছে।’
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক বিরোধীদলীয় নেতা আছে তারা চান না দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নত দেশ হোক। ব্যক্তিস্বার্থের জন্য তারা খুব দুশ্চিন্তায় আছে। এজন্য বিভিন্ন লোকদের বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাতে দেশে অশান্তি আসে। কিন্তু অশান্তি আসলে কেউ ভালো থাকে না। অশান্তি আসলে তাদেরও বারোটা বাজবে।’
বিরোধী দল দেশের উন্নতি চায় না বলে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা নিজের পা কেটে অন্যের ক্ষতি করতে চায়; এমন মন্তব্যও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।