বিরাট কোহলি ১২২ রান করে গড়ে দিয়েছিলেন মঞ্চটা। তাতে ভারত পেয়েছিল ২১২ রানের পুঁজি। এরপর বোলিংয়ে যা করার করে দেখিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার দারুণ বোলিংয়ে আফগানদের ১০১ রানে হারিয়েছে দলটি। তাতে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বিদায়টা একেবারে খালি হাতে হলো না তাদের।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বিধ্বংসী করে ভারত। পাওয়ার প্লেতে লোকেশ রাহুল ও কোহলি মিলে তোলেন ৫২ রান। ৩২ বলে ক্যারিয়ারের ৩২ নম্বর অর্ধশতক তুলে নেন কোহলি।
এশিয়া কাপের ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার মিশন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারত ও আফগানিস্তানের। ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে দুই ফাইনালিস্ট; পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা তাই ভারত ও আফগানিস্তানের জন্য ছিল নিয়মরক্ষার।
এই ম্যাচে যেন আগের দুই হারের শোধ নিল ভারত। আফগান বোলার তুলোধুনো করে দাঁড় করালো রানের পাহাড়। আর বল হাতে এসে টুঁটি চেপে ধরে অল্পতেই আটকে দিল আফগান ব্যাটারদের। বাগিয়ে নিয়েছে ১০১ রানের সান্ত্বনার জয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বিধ্বংসী করে ভারত। পাওয়ার প্লেতে লোকেশ রাহুল ও কোহলি মিলে তোলেন ৫২ রান। ৩২ বলে ক্যারিয়ারের ৩২ নম্বর অর্ধশতক তুলে নেন কোহলি।
সঙ্গী রাহুল ও সুরিয়াকুমার ইয়াদভ বিদায় নিলেও, দুবাইয়ের মাঠে ঝড় অব্যাহত রাখেন কোহলি। ১৯তম ওভারে আফগান পেইসার ফরিদ আহমেদকে পরপর দুই বলে চার এবং ছক্কা মেরে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তোলেন কোহলি। ইনিংস শেষে অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে ১২২ রানে। কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে ২ উইকেটে ২১২ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধস নামে আফগান শিবিরে। স্কোরবোর্ডে ২১ রান তুলতেই ভুবনেশ্বর কুমারের বোলিং তোপে সাজঘরে ফেরেন ৬ আফগান ব্যাটার। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে একাই লড়াই চালিয়ে যান ইবরাহিম জাদরান। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে তার হাঁকানো দুর্দান্ত অর্ধশতকের সুবাদে দলের স্কোর ১০০ পার করে আফগানিস্তান।
তবে ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়েই গেছে। ৮ উইকেটের খরচায় ১১১ রানের বেশি তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি আফগানদের। আর তাতেই ১০১ রানের বড় জয় দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শেষ করে ভারত।