বিদায় ক্যামেরুন, নকআউটে ব্রাজিলের সঙ্গী সুইজারল্যান্ড

ব্রাজিলকে হারানোর উচ্ছ্বাস নিয়ে ক্যামেরুনের বিদায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো ক্যামেরুন। সেই সাথে ১-০ গোলের হারের পরও শীর্ষস্থান ধরে রেখেই শেষ ষোলোতে যাচ্ছে ব্রাজিল। একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ ১৬তে ব্রাজিলের সঙ্গী হচ্ছে সুইজারল্যান্ড।

সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই নকআউট নিশ্চিত করে ফেলা ব্রাজিল একাদশে ছিল পরিবর্তনের ছড়াছড়ি। রক্ষণে এদার মিলিতাও ও মাঝমাঠে ফ্রেডকে ছাড়া আগের ম্যাচের শুরুর একাদশের ৯ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেন ব্রাজিলের কোচ লিওনার্দো তিতে।

বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই তার এ ব্যপক রদবদল। ক্যামেরুনের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস। এতে করে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় ও অধিনায়কের রেকর্ড গড়েন এ রাইট ব্যাক।

নতুন চেহারার একাদশ নিয়েও ক্যামেরুনের বিপক্ষে নিজেদের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ঢংয়ে শুরু করে ব্রাজিল। ১৪ তম মিনিটে গাব্রিয়েল মার্তিনেলির শট ঠেকিয়ে ক্যামেরুনকে নিরাপদে রাখেন গোলকিপার ডেভিস এপাসি।

বিরতির আগে আরও দুইবার গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল ব্রাজিল। ৩৪ মিনিটে আলভেসের জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। আর চার মিনিট পর অ্যান্টনির নিচু শট বিপদে ফেলতে পারেনি এপাসিকে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মার্তিনেলির আরেকটি শট ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে হতাশ করেন ক্যামেরুনের এ গোলকিপার।

বিরতির ঠিক আগে ক্যামেরুন দারুণ এক সুযোগ পায়। বাম প্রান্ত দিয়ে মুমি এনগামেলুস ক্রসে ব্রায়ান এমবেমুর জোরাল হেড রুখে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার এদারসন।

দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক সুযোগ পায় ব্রাজিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে মিলিতাও এর শট পোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অ্যান্টনির বদলে রাফিনিয়া নামলে সুযোগ বাড়ে ব্রাজিলের। ৮৯ মিনিটে তার পাস থেকে বল পেয়ে পেদ্রো বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন।

অতিরিক্ত সময়ে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল বের করে নেয় ক্যামেরুন। ৯২ মিনিটে জেরোম এমবেকেলির পাস থেকে ব্রাজিলকে চমকে দেন ভিনসেন্ট আবুবাকার।

তবে আগেই হলুদ কার্ড আবুবাকার, গোলের পর জার্সি খুলে উদযাপনের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান।