সিলেট জেলা বিএনপির ত্রাণ বিতরণ

বিএনপি বানভাসিদের পাশে আছে : কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, বন্যার পানি কমার সাথে সাথে মানুষের হাহাকার বাড়ছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে মানুষ বোবা কান্না করছে৷ মানুষের ঘর-বাড়ি, ক্ষেত-খামার, কর্মসংস্থান সব নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার আজ জনগনের পাশে নেই। বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধ্যমতো বানভাসিদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। আমরা সরকারের কাছে আগেও দাবি জানিয়েছি, এখনও জানাচ্ছি- বন্যাদুর্গত মানুষদের দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য সহায়তা দিয়ে অবিলম্বে পুনর্বাসন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিনভর সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বনাথের আমতৈলে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় সিলেট-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলী বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে, বাড়ি বাড়ি বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে গিয়েছিলেন। নিজ হাতে খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। বাকশালি সরকার তাকে গুম করে রেখেছে। ইলিয়াস আলীর অনুপস্থিতিতে তার সুযোগ্য পুত্র ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্নব আপনাদের এই দুঃসময়ে বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাবার অভাব কিছুটা হলেও আপনাদের বুঝতে দিচ্ছেন না। অন্যদিকে এই বন্যায় বানভাসি মানুষ সরকারের কোনো প্রতিনিধিকে পাশে পাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ইলিয়াস আলীকে গুম নামক কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে, আপনাদেরও দুঃখ-কষ্ট থাকবে না।

জেলা বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখছি আওয়ামী লীগের বিনা ভোটের এমপিরা আধা কেজি মুড়ি আর ২টি খেজুর দিয়ে বিশাল বহরসহ ফটোসেশন করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। জনগণ আওয়ামী লীগের এমন কর্মকাণ্ডে শুধু ছি ছি করছে। তারা দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে আওয়ামী লীগ পালাবার রাস্তা পাবে না।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা বন্যা পরিদর্শনের নামে সিলেটে এসে হেলিকাপ্টার বিলাস করে দুর্গত মানুষদের সাথে উপহাস করছেন। গতকাল দেখলাম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে সিলেটের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিদর্শন করছেন। জনগণের প্রশ্ন হচ্ছে- হেলিকপ্টার থেকে কিভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখা যায়? স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র দেখতে হলে স্বাস্থকেন্দ্রে যেতে হয়। তারা শুধু শুধুই জনগণের টাকা জলে ফেলছে।

উভয় উপজেলায় খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলীর পুত্র ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্নব, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বশির মিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে আহসান রাব্বী, জেলা বিএনপি নেতা আসাদ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুল, জেলা বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম তোরন, মাহবুব আলম, সেহেল ইবনে রাজা, আব্দুল মালিক মল্লিক, পাবেল, আল মামুন প্রমুখ।