বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব রাজপথে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট গুলশানে গ্রেনেড হামলা করে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম নিহত হয়েছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন নতুন করে আবার বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরুদ্ধে তারা নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ সহ সকল অপকর্মের দাঁত ভাঙা জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় আম্বরখানাস্থ গোল্ডেন টাওয়ারের নিচতলায় ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের যে ধারা চলমান রয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।
৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাবের আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম.এ খান শাহীনের পরিচালনায় সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্য প্রদান করেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে ওয়ার্ড সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ডের সম্মেলন হচ্ছে। ভালো ও গ্রহণযোগ্য লোক দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। অনুপ্রবেশকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এক পরিবারে তিন ভাই তিন দলে থাকে। সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে সৎ ও স্বচ্ছভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বদর উদ্দিন আহমদ, প্রদীপ পুরকায়স্থ, আকরার বক্ত মজুমদারসহ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক উপকমিটির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অব্যাহত রয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংগঠনিক পক্ষ ঘোষণা করা হয়। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে যে গুনগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারা সূচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আজ একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদ উদ্দিন আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহজাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বেলাল খান, ফয়সল আজাদ খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, রাহাত তরফদার, সৈয়দ কামাল, জামাল আহমদ চৌধুরী, জুমাদিন আহমদ, ইলিয়াস আহমেদ জুয়েল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দ আনোয়ার বক্ত মজুমদার, কামরুজ্জামান বাবু, এ.কে আজাদ খান, পঞ্চু সিংহ, সাইফুজ্জামান আনু, মোতাহের আহমদ, মো. ফারুক আলী, হাজী লেকত আলী, সিদ্দেক আলী, ফারুক ইসলাম ফারুক, ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাজোয়ান আহমদ, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ সুজন, মঈনুল ইসলাম মঈন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদ শেখসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলরবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে ফয়েজ খান পিয়ারা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এম.এ খান শাহীনকে নির্বাচিত করা হয়।