দীর্ঘ ৫ মাস থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘জনগণ উন্নতি ও শান্তি জন্য পরিবর্তন চায়। সেই শান্তি জাতীয় পার্টিই দিতে পারে, অবশ্যই তা বিএনপি নয়। বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির অধীনে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন রওশন এরশাদ। এর আগে দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। তার সঙ্গে ফিরেছেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ, পুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পূত্রবধু মাহিমা সাদ।
এসময় ব্যাংককে চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রওশন বলেন, ‘ব্যাংককে আমার চিকিৎসার সময় সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসার সময় সহায়তা ও সহযোগিতার জন্য থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও ধন্যবাদ জানান।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিতি থেকে বিরোধী দলীয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, পার্টির সিনিয়র নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এসএমএম আলম, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক এমপি ও দলীয় চেয়ারম্যানের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রমুখ।
পাঁচ মাস আগে জিএম কাদের, মুজিবুল হক চুন্নুসহ সিনিয়র নেতারা রওশনকে বিদায় জানাতে গেলেও আজ জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তাকে স্বাগত জানান।
রওশন বলেন, ‘আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি, আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম এবং অন্যান্যদের সঙ্গে যেকোনও বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবঝি দূর করতে বসবো। আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগিরই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাপার প্রার্থী ঘোষণা দেবেন রওশন, বিরোধী দলীয় নেতার প্রেস উইং থেকে এমন প্রচারণা রয়েছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দরে রওশন বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবে এমন যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেবো।’