বিএনপির আন্দোলনে বাধা না দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ছবি

বিএনপির আন্দোলনে বাধা না দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘটকে তিনি বাধা হিসেবে না দেখে বিএনপির প্রতি বাস মালিকদের ভীতি হিসেবে দেখছেন।

এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রতি মাসে ঢাকার বাইরে দুটি করে কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

রোববার (৩০ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারসহ আরও নানা দাবিতে ৮ অক্টোবর থেকে প্রতি শনিবার বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করছে বিএনপি। প্রথম শনিবার চট্টগ্রামে, দ্বিতীয় শনিবার ময়মনসিংহে, তৃতীয় শনিবার খুলনায়, তার পরের শনিবার রংপুরে সমাবেশ হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর সমাবেশ হবে বরিশালে। আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতেও বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা আছে।

বিভাগীয় এই কর্মসূচিগুলো ছাড়াও বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো ঢাকায় যেসব সমাবেশ করছে, সেগুলোতে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যা গত এক যুগে দেখা যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনে কোনো বাধা দিতে নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগের কোনো অসুবিধা নেই।’

তবে কর্মসূচির নামে ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে চালানো ‘আগুন সন্ত্রাস’ করলে জবাব দেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে কাদের বলেন, ‘পরিবহনের মানুষ বিএনপিকে ভয় পায়। এখানে আমার করার কী আছে?’

আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনগুলো জনসভায় রূপান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তা বিএনপির কর্মসূচির পাল্টাপাল্টি নয়। আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে না। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন এবং অন্যান্য সম্মেলন নিয়মিত প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের সময় মিলে গেলে আমরা কী করব?’

আগামী জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে উপকমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে আগে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম মেয়াদোত্তীর্ণ সংগঠনের সম্মেলন করা হবে।’

আলোচনা করে তারিখ পরে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান কাদের।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য, শাহাবুদ্দিন ফরাজীও এ সময় বক্তব্য দেন।