বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বরিশালে বাস মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর সব ধরনের তিন চাকার যানবাহনে ধর্মঘট ডেকেছেন জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, টেক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি কামাল হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতে ৪ থেকে ৫ নভেম্বর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিকদের সংগঠন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বরিশাল বাস মালিক-শ্রমিকদের হাতে তিন চাকার যানের চালকদের হয়রানি বন্ধ, মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন চাকার যানের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, মেট্রোপলিটন এলাকার সর্বত্র তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি, তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর তিন চাকার যানের ভাড়ার চার্ট প্রদান ও সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে ৪ ও ৫ নভেম্বর ডিজেল, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত সব ধরনের তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে’।
বিএনপি দাবি করেছে, আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরের মতো সরকারি দলের ইন্ধনে এই অপকৌশল নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ খুলনা এবং রংপুরেও এমন করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণকে ঠেকানো যায়নি। বরিশালে মানুষের ঢল নামবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই।’
এর আগে বিএনপির ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ও সমাবেশের দিন মহাসড়কে ‘অবৈধ’ থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস মালিক সমিতি। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।