‘লাকমা গ্রাম রক্ষা করুন, বালু তোলা বন্ধ করুন’, ‘বাঁচতে চাই বাঁচতে দিন, বসতভিটায় থাকতে দিন’, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, আশ্রয়হীন কেউ থাকবে না’- এমন শত শত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করেছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা লাকমা ছড়ার বালুর উন্মুক্ত নিলাম বাতিল ও উত্তোলন না করার দাবিতে তারা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে লাকমা গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ছাড়াও শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী ও এলাকার সচেতন মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় শিক্ষক আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও আলী আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ডা. সামছু মিয়া, ইজ্জত আলী, হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলী, নুরুজ্জামান সরুজ হোসেন, লিটন মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমাছড়াতে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ওপার থেকে ভেসে আসা বালু ছড়ায় মিশে স্তুপে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন থেকে লাকমাছড়ার বালু উন্মুক্ত নিলামে দেওয়া হয়।
বক্তাদের আশঙ্কা, নিলামে মনোনীত ব্যক্তিরা এ ছড়া থেকে বালু উত্তোলন শুরু করলে ছড়ার দুইপাড়ের শতাধিক বসতভিটা, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙনের হুমকিতে পড়বে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে সহস্রাধিক পরিবার।
তাই লাকমাছড়ার বালুর উন্মুক্ত নিলাম বাতিল ও উত্তোলন বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার নয়াছড়া, বড়ছড়া, লাকমাছড়া, চারাগাঁওছড়া, বুরুঙ্গাছড়া, বাশতলা ও কলাগাঁওছড়াসহ সীমান্তের সাতটি ছড়াতে ওপার থেকে ভেসে আসা দক্ষিণ পাশের বালু জেলা বালুমহাল কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন উন্মুক্ত নিলামে তোলে।