বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা’র জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেট এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রস্তাব করেন।
দুই বছর মেয়াদের এই কমিটিতে জামিল আহমেদ চৌধুরীকে সভাপতি ও আব্দুল করিম কিমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে আছেন ড. নাজিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ই ইউ শহীদুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী, ফাদার জোসেফ গোমেজ ও ডা. তারেক আজিজ।
কমিটিতে আরও আছেন কোষাধ্যক্ষ ছামির মাহমুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আল হাদি, অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, প্রফেসর মো. এমদাদুল হক ও গৌরাঙ্গ পাত্র।
সদস্য হিসেবে আছেন হাসান এ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী (দিপন), এনামুল মুনির, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, জাকির হোসেন সোহেল, প্রফেসর ড. দিলারা রহমান, অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া, অধ্যাপক ড. মো. আলী ওয়াক্কাস, সঞ্জয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, স্থপতি রাজন দাশ, মাহবুব সুন্নাহ, মুজাহিদ হোসেন মুনিম, রোমেনা বেগম রোজী, জুবাইদা গুলশান আরা, মো. ফজল খান, আলমগীর আলম শাহান, এনায়তুল বারি মুন, বহ্নি চক্রবর্তী, দেবাশীষ দেবু, রাজিব চৌধুরী ও শাকিলা ববি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও বাপা সিলেট শাখার সহ-সভাপতি জামিল আহমেদ চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাপা’র জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সিলেট এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাপা’র জাতীয় পরিষদের সদস্য ও বাপা হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।
সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিতে কমিটির প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ও বাপা’র নীতি-নির্ধারনী বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য পরিবেশ সমাবেশ ও বাপা সিলেট শাখার কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্য দেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।
সভায় কর্মসূচিভিত্তিক ১৫টি আলাদা কমিটির নাম প্রস্তাব করা হয়। কমিটিগুলো হলো- ১) নদী ও ছড়ারক্ষা আন্দোলন ২) পুকুর-দিঘি ও জলাশয় রক্ষা আন্দোলন ৩) হাওর ও বিল রক্ষা আন্দোলন ৪) পাহাড়-টিলা রক্ষা আন্দোলন ৫) নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা আন্দোলন ৬) বায়ু, শব্দ ও দৃষ্টিদূষণ প্রতিরোধ আন্দোলন ৭) খেলার মাঠ, পার্ক ও উদ্যান বিষয়ক কমিটি ৮) ঐতিহ্য ও স্থাপত্য রক্ষা আন্দোলন ৯) পলিথিন, প্লাস্টিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্দোলন ১০) আদিবাসী জনগোষ্ঠি ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন ১১) বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষা আন্দোলন ১২) নগরায়ন, নগরসুশাসন ও সিলেট ড্যাপ বাস্তবায়ন বিষয়ক কমিটি ১৩) পরিবেশ আইন ১৪) সবুজায়ন ও ছাদ বাগান বিষয়ক কমিটি এবং ১৫) যুববাপা আন্দোলন। এই কমিটিগুলোর আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম কার্যকরী কমিটি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে।