বানিয়াচংয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ

হবিগঞ্জে পেশাগত দায়িত্বপালন কালে সাংবাদিক রাজীব নূরসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আদিবাসী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

ভূপর্যটক ও ভ্রমণকাহিনী লেখক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখলের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে রোববার হামলার শিকার হন সাংবাদিক রাজীব নূর ও তাঁর সহকর্মীরা। হামলায় আহত অন্য সাংবাদিকেরা হলেন কালের কণ্ঠের বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, স্থানীয় সাংবাদিক তৌহিদ মিয়া ও আলমগীর রেজা।

সমাবেশে সূচনা বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সতেজ চাকমা বলেন, আদিবাসীদের ওপর সংঘটিত অবিচারের বিরুদ্ধে এবং আদিবাসীদের পক্ষে যাঁরা সরব আছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন রাজীব নূর। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব অনাচার সংঘটিত হয়ে আসছে, সেই অনাচারের বিরুদ্ধে রাজীব নূর একজন অন্যতম কলমযোদ্ধা।’

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান বলেন, ‘হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক রাজীব নূর ও তাঁর সহকর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

সংহতি বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুন ত্রিপুরা বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি জানে, প্রশাসন জানে কীভাবে রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি বেদখল হয়েছে, কারা করেছে। তারপরও তারা নীরব কেন?’

বিক্ষোভ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা প্রায় সময় দেখি, যাঁরা সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্রান্তিকালে অন্যায়গুলো সামনে নিয়ে আসেন, সেই সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে হামলা হচ্ছে, নিপীড়ন হচ্ছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার ফলে একের পর এক হামলা হচ্ছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মনিরা ত্রিপুরা। তিনি রামনাথ বিশ্বাসের দখলকৃত বাড়ি উদ্ধার এবং সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।