আগামী মে মাসে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবার কথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে তফসীল ঘোষণার আগেই নির্বাচনী মাঠ গোছাতে নেমে পড়েছেন বানিয়াচং উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থী না দেবার ঘোষণায় আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয় নেতাই নিজেদেরকে প্রার্থী ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন। আর বিএনপি থেকে এখনো নির্বাচনে অংশ নেয়ার স্পষ্ট ঘোষণা না আসায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দী হতে পারে আওয়ামী লীগই।
বানিয়াচংয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মূল আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাস্টার এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান।
ইতিমধ্যেই এই তিনজনের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমির হোসেন মাস্টার জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য ছয়বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তবে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন। এবার তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এবারও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী দুইবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ জনপ্রিয়তা নিয়ে নৌকা প্রতীকে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনিও এবার নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দলীয় নেতাকর্মীরা এবার ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে চোখে পড়ার মত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবুল কাশেম চৌধুরী ভোটারদের সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে এবার ব্যাপকভাবে আলোচিত নাম ইকবাল হোসেন খান। তাঁর জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের বড় অংশসহ সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে। ইকবাল হোসেন খান ২০০৩ সাল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনের পুরো সময় জনগণের সাথে থাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। রয়েছে পারিবারিক ও গোষ্ঠীগত আলাদা ভোট ব্যাংক। ইকবাল হোসেন খান বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, প্রার্থীরা একেকদিন একেক এলাকায় উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। নির্বাচনের ক্ষণ এগিয়ে আসার সাথে সাথে সরগরম হয়ে উঠছে প্রচারণার মাঠ। চায়ের দোকান, রেস্টুরেন্টসহ সর্বত্র তিন হেভিওয়েট চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে আলোচনা। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ ধাপের ১ম দফায় ৪ মে, ২য় দফায় ১১ মে, ৩য় দফায় ১৮ মে ও ৪র্থ দফায় ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৭১০ জন।