কাতার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম একাদশে তো নয়ই, রিজার্ভ বেঞ্চেও ছিলেন না রাহিম স্টার্লিং। তখনও এর কারণ জানা যায়নি।
সেনেগালের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়েছেন, লন্ডনে ফিরে গেছেন স্টার্লিং। তার কাছে ফুটবলের চেয়ে পরিবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার পাশে আছে দল।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাউথগেট জানান, স্টার্লিংয়ের লন্ডনের বাড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হানা দিয়েছে। বাড়িতে স্টার্লিংয়ের ৩ সন্তানসহ পরিবারের লোকজন আছেন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এই খবর পেয়ে স্টার্লিং অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। সেই কারণেই ও বাড়ি ফিরে গেছে। ও সন্তানদের নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে স্টার্লিংয়ের কাছে পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওর পাশে আছি। ওর যতটা সময় লাগে লাগুক।
আল বায়ত স্টেডিয়ামে রোববার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় ইংলিশদের মুখোমুখি হয় সেনেগাল। এ ম্যাচে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামার আগে হঠাৎ দুশ্চিন্তা ভর করেছে ইংলিশ শিবিরে।
আসরের শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের শুরুর একাদশে ছিলেন চেলসির এ ফরোয়ার্ড। ইরানের বিপক্ষে একটি গোলও করেছেন তিনি। বেঞ্চে ছিলেন শুধু ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনাই বেশি ছিল।
সেনেগালের বিরুদ্ধে এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম গোল করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। ম্যাচের পর তিনিও সতীর্থর উদ্দেশ্যে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ওর পরিবারের পাশে রয়েছি। সতীর্থ ও বন্ধুকে এভাবে দেখতে চাই না। আশা করি কোচের সঙ্গে কথা বলে সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ফ্রান্স। সেই ম্যাচের আগে স্টার্লিং কাতারে ফিরতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়।