বাজেট গণকল্যাণমুখী ও সময়োপযোগী : সিলেট চেম্বার

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গণকল্যাণমুখী ও সময়োপযোগী’ বলেছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

বর্তমান পরিস্থিতিকে প্রাধান্য দিয়ে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পবান্ধব বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে সিলেটে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন।

মহামারির এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন হবে বলেও চেম্বার নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার পর গণমাধ্যমে পাঠানো চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সিলেট চেম্বারের বিবৃতিতে আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরাকে বর্তমান সরকারের ‘জীবনমান পরিবর্তনমুখী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আগামী বাজেটে সবার জন্য পেনশন সুবিধা রাখা হয়েছে, যা সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদকের কাঁচামাল সরবরাহের উপর উৎসে কর, ব্যবসায়িক পণ্য সরবরাহের উপর উৎসে কর হার কমানোকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে করদাতাদের অনিচ্ছাকৃত ভুলের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ না করার প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রণোদনার হার বাড়ানোর প্রস্তাবে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়বে বলেও মনে করেন চেম্বার নেতারা।

বাজেট সম্পর্কে সিলেট চেম্বার নেতারা বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতি গ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, প্রতিরক্ষণ ও বাণিজ্য সহজীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী ও ভারী শিল্পের বিকাশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগান অব্যাহত রাখাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এক হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, যোগাযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে মনে করেন তারা।