প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ধূমপায়ীরা এক দু:সংবাদ পেলেন। এবারের বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে ধূমপায়ীদের এখন থেকেই সিগারেট কিনতে বাড়তি খরচ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে সিগারেট কিনতে ধূমপায়ীদের এখন আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে কম দামি ১০ শলাকার দাম ৪০ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মাঝারি মানের ১০ শলাকার দাম ৬৫ টাকা ও তদুর্ধ্ব, এবং বেশি দামি ১০ শলাকার দাম ১১১ টাকা ও তদুর্ধ্ব, খুব বেশি দামি ১০ শলাকার দাম ১৪২ টাকা ও তদুর্ধ্ব এবং এই তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও আট শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বাজেটে।
তবে এবারের বাজেটে জর্দার দাম বাড়েনি। পূর্ববর্তী বছরের মতোই অপরিবর্তিত থাকছে। আগের বছরগুলোর মতো প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে এবার সর্বোচ্চ ভর্তুকি রেখে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট এটি।