কাতারে অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চে দলের গুরুত্বপূর্ণ তারকা ছিলেন আলেজান্দ্রো পাপু গোমেজ। যদিও বিশ্বকাপে কেবল দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ ‘ড্রাগস’ নেওয়ার অপরাধে ৩৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত মাসে (সেপ্টেম্বর) স্প্যানিশ দল সেভিয়া থেকে ইতালির মোনজাতে ফ্রি-এজেন্ট হিসেবে যোগ দেন গোমেজ। তার আগেই ডোপিং টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি, সেই ফলাফল পজিটিভ হওয়ায় তাকে এবার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছে।
এর আগে সেভিয়ার খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় ক্লাব সূত্র থেকে জানানো হয়েছিল, রাতে অসুস্থ বোধ করায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের বাচ্চার কফ সিরাপ খেয়েছিলেন পাপু গোমেজ। গত বছর নভেম্বরে বিশ্বকাপের আগে সেই ডোপ পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখনকার সেভিয়া মিডফিল্ডার।
বাচ্চার সিরাপ খাওয়াটাই কাল হয়েছে লিওনেল মেসির জাতীয় দল সতীর্থের। ৩৫ বছর বয়সে নিষিদ্ধ হয়ে আক্ষরিক অর্থে গোমেজের খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে! অথচ মাত্র সপ্তাহ তিনেক আগে তিনি ইতালিয়ান ক্লাবটিতে যুক্ত হয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যম ‘রেলেভো’ বলছে, এই ঘটনা হঠাৎ-ই ঘটেছে, যখন সেভিয়ার ট্রেনিং চলাকালে সেখানে অ্যান্টি-ডোপিং নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিকিৎসকরা হাজির হন। এর আগের রাতে অসুস্থ বোধ করায় নিজ সন্তানের সিরাপ খেয়েছিলেন বলে ওই ফুটবলার জানিয়েছেন। তবে কাজটি সঠিক বলে মনে করেনি অ্যান্টি ডোপিং কর্তৃপক্ষ, তাদের মতে-ওই ওষুধ নেওয়ার আগে তার জানানো উচিৎ ছিল। যেহেতু তিনি তখনও সেভিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিলেন। এরপর ডোপিং টেস্টে অংশ নেওয়ার পর জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলতে তিনি পাড়ি দেন কাতারে।
তবে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন গোমেজ। যার মাধ্যমে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমতেও পারে! ২০১৪-২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি মৌসুম ইতালিয়ান লিগের দল আটালান্টার হয়ে ২৫২ ম্যাচ খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। সে সময় তার দল চ্যাম্পিয়ন লিগে খেলার দৌড়ে বেশ এগিয়ে ছিল। বিশ্বকাপ দলে থাকার মাধ্যমে গোমেজ নিজেও একজন গোল্ড মেডেলিস্ট। সৌদি আরব এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি আলবিসেলেস্তেদের হয়ে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছিলেন।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম