সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির ভান্ডার সমৃদ্ধ সিলেটের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার বিকাশে আমরা ঐক্যবদ্ধ। বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পিঠাপুলির উৎসব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে একটি আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে চাই। তাই বাঙালির চিরায়ত লোকসংস্কৃতি বিকাশে আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবো।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্তমঞ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের আয়োজনে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬৪ জেলায় আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ৫ ফেব্রুয়ারী, সোমবার সন্ধায় কবি নজরুল অডিটোরিয়াম মুক্তমঞ্ছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট এর তিনদিন ব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক আল-আজাদ, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ও লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমনকুমার দাশ ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত।
অনুষ্ঠানে মেয়র অংশগ্রহণকারীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
জান্নাতুল নাজনীন আশার উপস্থাপনায় জাতীয় পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে, দলীয় পরিবেশনা করেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ; আরকুম শাহ শিল্পীগোষ্ঠী; রাধারমণ স্মৃতি তর্পণ; অনির্বাণ শিল্পী সংগঠন; সারেগামাপা; গীতাঞ্জলি; খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন; তারুণ্য; সিলেট নৃত্যালয় ও নৃত্যরথ; সিলেট।
একক পরিবেশনায় অংশ নেন, হিমাংশু বিশ্বাস, বিরহী কালা মিয়া, বিধু ভূষণ ভট্টাচার্য্য, খোকন ফকির, বাবুল সরকার, ইকবাল সাঁই, সোমা নাগ, বিমলেন্দু দাশ, পল্লবী দাস মৌ, মো. ফয়সাল, আশরাফুল ইসলাম অনি, মৃন্ময়ী রায় মীম, প্রমি দে, অর্পিতা দে।